পদ হারালেন কৌস্তভ, গাঁ মানে না আপনি মোড়ল
আর তার জেরেই এই যাত্রায় পদ হারা হলেন তিনি, মানে কৌস্তভ বাগচী(Koustav Bagchi)। প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্রের পদ হতে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। বিজেপির সাথে যোগসাজশ রেখে চলা, গেরুয়া শিবিরের উসকানিতে দলীয় নেতৃত্বকে আক্রমণ করার নালিশের জেরেই এহেন স্টেপ বলে প্রদেশ কংগ্রেস(INC) সূত্রে জানা গিয়েছে।
মুম্বইয়ে যখন বিজেপি(BJP) বিরোধী INDIA জোটের বৈঠক চলছে, তখনও তৃণমূল(TMC) এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) বিপক্ষে বিষ ঢেলে যাচ্ছিলেন তিনি। এমনকি তৃণমূলের সাথে জোট গড়া নিয়ে দলীয় নেতৃত্বকেও আক্রমণ শানতে পিছুপা হননি তিনি।
আর তার জেরেই এই যাত্রায় পদ হারা হলেন তিনি, মানে কৌস্তভ বাগচী(Koustav Bagchi)। প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্রের পদ হতে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। বিজেপির সাথে যোগসাজশ রেখে চলা, গেরুয়া শিবিরের উসকানিতে দলীয় নেতৃত্বকে আক্রমণ করার নালিশের জেরেই এহেন স্টেপ বলে প্রদেশ কংগ্রেস(INC) সূত্রে জানা গিয়েছে। আর এই পদক্ষেপে কৌস্তভকে উদাহরণসরূপ বুঝিয়ে দেওয়া হল আকর্ষণ তথা তৃণমূল বিরোধিতায় লাগাম টানতে, ঠিক তেমনি দলের সকল নেতাকেই নিঃশব্দে মেসেজ দিয়ে দেওয়া হল যে, তাঁরা যেন কেউ কৌস্তভের পথে পা না বাড়ান। আর এই পদক্ষেপটা নেওয়া হল এমন একটা সময়ে যখন গতকালই মুম্বইয়ে INDIA জোটের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে যে, রাজ্যে রাজ্যে নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি বন্ধ করতে হবে।
কার্যত কৌস্তভের পদ হারানোর মধ্যে বড় ধকল কেউই দেখতে পাচ্ছে না। কেননা একাধিকবার উনি তৃণমূলকে নিশানা বানাতে গিয়ে টিমের নেতৃত্বকেই নিশানা বানিয়ে ফেলেছেন। ওনাকে বার বার সতর্ক করা হলেও নিজেকে শুধরে নেননি তিনি। কার্যত নিত্যদিন উনি বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ চালিয়ে গিয়েছেন। সব থেকে বড় কথা, খোদ প্রদেশ কংগ্রেসেরই একটা বড় অংশের নেতারা মনে করেন কৌস্তভের এই বেপরোয়া মনোভাব ও কথাবার্তার মূলে রয়েছে, বিজেপির উসকানি। আর সেই কারণেই তিনি অলওয়েজ তৃণমূলের বিপক্ষে মুখ খুললেও আজ পর্যন্ত বিজেপির বিপক্ষে একটি শব্দ করেননি। কার্যত কৌস্তভ নিজেই দিন আগে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, তাঁর বিপক্ষে দল কোনও পদক্ষেপ নেবে। আজকাল দেখা গেল সেটাই আসলেই হয়েছে।
দিনকয়েক প্রথমে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর অনুমতি নিয়েই মুখপাত্রদের ২৬ জনের নিউ একটি প্যানেল পাবলিশ করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। ওই স্থান নাম নেই কৌস্তভের। কার্যত সেই সময়েই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কৌস্তভকে ধাক্কা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এখন সেটাই আরও শক্ত ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হল দলের মুখপাত্রের পদ হতে সরিয়ে দিয়ে। টিমের নেতারা কে কী ভাবছেন? প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যত কেউই নেই কৌস্তভের পাশে। বক্তব্য, 'কংগ্রেস সহযোগীরা কৌস্তভের মুখ আর মুখোশ দুটোই এতদিনে চিনতে পেরেছে। ওর বিজেপিকে তুষ্ট করতেই তাদের বিপক্ষে একটাও কথা বলছে না। আর বিজেপির উসকানিতেই বর্তমান নেতৃত্বকে নিশানা করছে। আসলে গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল গোছের নেতা হলে যা হয়। নিজের পাড়ায় সঙ্গে এক পিস ব্যক্তি নেই। এক বছর সময় দিলেও দশজন ব্যক্তি জোগাড় করতে পারবে না। যতসব কাগুজে বাঘ, ফেবু আর দু'চারটে বাজারি টিভি চ্যানেলের 'গ্যাস' খেয়ে ক্যামেরার সম্মুখে মাথা ন্যাড়া করে সেই সময় অবাক দিয়েছিল। আসলে পুরোটাই তো বিজেপির সঙ্গে গটআপ করে নাটক করা। তলে পাদদেশে কাদের সঙ্গে সেটিং তা প্রদেশ কংগ্রেস থেকে এআইসিসি, সবাই ধরে ফেলেছে। কৌস্তভ এতদিন বলেছেন, ''দলের নিচু তলার সহযোগীদের আবেগের কথা আমি তুলে ধরি। তা সত্ত্বেও শিষ্য পরিষদের মহাজাতি সদনের সভায় কৌস্তভ দলের সেই নিচুতলার সহযোগীদের হাতেই বেধড়ক মার খেয়েছে। তাঁর দল বিরোধী অবদান কংগ্রেসের সর্বস্তরে নজরে পড়েছে।'
What's Your Reaction?