লিপস অ্যান্ডস বাউন্ডসের সিইও কে? সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর গ্রেফতারের পরই এই প্রশ্নে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। প্রজ্ঞাপন জারি করেই কেন্দ্রীয় কোম্পানি জানিয়েছিল, ওই সংস্থার সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার সাথে সিওও সুজয়কৃষ্ণ। গত ২৮ আগস্ট তৃণমূল শিষ্য পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কথনীয় রাখার জন্য গিয়ে ইডির দাবিকেই কার্যত সিলমোহর দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসকে 'আমার কোম্পানি' বলে সম্বোধন করেছিলেন। তারপরও, এই ইস্যুতে কৌতূহল কমেনি। বুধবার ইডি দফতরে ৯ ঘণ্টা জেরে শেষে ওই কোম্পানির প্রসঙ্গ উঠতেই সিজিও কমপ্লেক্সে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেছেন, 'লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও পদে এখনও আছি।'
ইডির দাবি, শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির আর্থিক তছরুপের সাথে জড়িত এই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস। যা এদিন অস্বীকার করেছেন অভিষেক। সাফ বলেছেন, 'এসএসসিতে নিয়োগ দুর্নীতির ১০ পয়সা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে ঢুকেছে, আগে প্রমাণ করে দেখাক ইডি।' লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ইস্যুতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ এডিটর বলেন, 'আমাকে ভিতরেও একই প্রশ্ন করেছে। এমনভাবে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে যেন পোড়া কাঠ দুর্নীতির টাকা, গোরু পাচারের টাকা, নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি যদি হয়ে থাকে, তার টাকা সব লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে ঢুকেছে। ইডি দেখাতে চাইছে একটাই টাকা তিনটি মামলায় জড়িত। কয়লার টাকা, গোরুর টাকা, এসএসসির অর্থের একটাই পেমেন্ট তো হতে পারে না।'
এর আগে কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ নম্র সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তাঁর ওপরওয়ালাকে দুনিয়ার কেউ ছুঁতে পারবেন না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুজয়কৃষ্ণ জানিয়েছিলেন, তাঁর সেই ওপরওয়ালা হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়েও বুধবার ইডিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন অভিষেক। উনি জানান, ইডির কাছে যদি সত্যিই কোনও দুর্নীতির প্রমাণ হতে থাকে, তারা সেটি প্রমাণ করে দেখাক। উনি যে ইডির কমপ্লেক্সের সম্মুখে দাঁড়িয়েই এসব কথা সাংবাদিকদের বলছেন, সেটাও জানিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেককে বুধবারের তলবের বেশ কয়েকদিন আগে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে হানা দিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। সেই টাইম অফিসের একটি কমপিউটারে ১৬টি ডকুমেন্ট ডাউনলোড করার অভিযোগও করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো আকর্ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে কি বুধবার ইডির কর্তাদের সঙ্গে ওঁদের কোনও কথা হয়েছে? উত্তরে অভিষেক জানান, সেনিয়ে কোনও কথা হয়নি