বিছানায় গৃহবধূর সঙ্গে উদ্দাম যৌনতা পাশের বাড়ি কাকুর! চুপিচুপি দেখল ছেলে, পরের কাণ্ড মারাত্মক
মায়ের সঙ্গে পাড়ার কাকুর ঘনিষ্ঠতা দেখে ফেলাতেই খুন হয় কিশোর। অভিযুক্ত মায়ের প্রেমিক। খড়দহ এলাকার রহড়া থানার অন্তর্গত বন্দিপুর লাল ইটখোলার বাসিন্দা পুনমদেবী। পেশায় ফুচকা বিক্রেতা। তাঁর সংসারে রয়েছে ছেলে ও এক দিদি এবং তার স্বামী বিশেষভাবে সক্ষম। কয়েকদিন আগে পুনামদেবীকে পাড়ার একজন ব্যক্তির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে তাঁর ছেলে অভয়দাস।
বছর দশেক বয়স অভয়ের।এরপরই ওই কিশোরের মুখ বন্ধ করতে তাঁকে খুন করে তাঁর মায়ের প্রেমিক। কিশোরের পূর্ব পরিচিত ছিল তাঁর মায়ের প্রেমিক। একই পাড়ার বাসিন্দা তাঁরা। অবধৈ প্রেমের সম্পর্ক যাতে জানাজানি না হয় তাই দুনিয়া থেকে কিশোরকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করে তাঁর মায়ের প্রেমিক।প্ল্যান মাফিক কিশোরকে ভুল বুঝিয়ে পানিহাটির রাসমনি মোড় সংলগ্ন গোসালা মাঠে নিয়ে যায় পাড়ার কাকু অর্থাৎ বিনোদ। এরপরে নৃশংস ভাবে খুন করে কিশোরকে । জানা গেছে ব্লেড দিয়ে গলা চিঁড়ে খুন করা হয়েছে কিশোরকে। তারপর কিশোরের মৃতদেহ ফেলে দেয় খড়দহ পুরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের মাঠপাড়ার ভাগাড়ে।
বুধবার সকালে সেই ভাগাড় থেকে কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এতেই এলাকায় চঞ্চল্য তৈরি হয়। জানা গেছে,গত শনিবার সন্ধ্যায় পুনাম দেবী তাঁর ছেলে অভয়কে এলাকার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে খেলা করতে দেখেছিলেন। তারপর থেকে কিশোরকে আর দেখা যায় নি। খোঁজ করেও পাওয়া যায় নি কিশোরকে, এমনটাই অভিযোগ কিশোরের মায়ের অর্থাৎ পুনামদেবীর।
সেদিন রাতেই পুলিশের কাছে অভিযোগ করে পুনামদেবী। তারপরেই পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সাহায্যে ও সূত্র মারফত জানতে পারে মায়ের প্রেমিক বিনোদের সঙ্গেই শেষ বার দেখা গিয়েছিল কিশোরকে। তারপরই সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের জেরা মুখে পরে বিনোদ অবশেষে স্বীকার করতে বাধ্য হয়। পরের দিন মঙ্গলবার বিনোদকে বারাকপুর আদালতে পেশ করা হয়।আদালত অভিযুক্তকে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
What's Your Reaction?