'ভারত অ্যাটাক করবেই', ভয়ে তটস্থ পাকমন্ত্রী কী বলল সেনাকে?

ইসলামাবাদ: পহেলগাঁওয়ে হামলার প্রতিশোধ যে ভারত নেবে তা একপ্রকার নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। সেই ভয় যে পাকিস্তানের হাড়ে কাঁপুনি ধরিয়ে দিচ্ছে তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়। সোমবারই তিনি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর মারাত্মক জঙ্গি হামলার পর, দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
তার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশী ভারতের দিক থেকে সামরিক প্রত্যাঘাতও আসবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
২২ এপ্রিলের ওই সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত ৪০-এর বেশি। যার পর থেকেই ফুঁসছে গোটা দেশ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীতে। এই হামলায় যে পাকিস্তানের মদত ছিল তাও আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যার একাধিক টুকরো প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সোমবারই ইসলামাবাদে নিজের কার্যালয়ে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেন, “আমরা আমাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করেছি কারণ প্রত্যাঘাত আসন্ন। তাই সেই পরিস্থিতিতে কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতেই হবে, যা নেওয়া হয়েছে।”
আসিফ বলেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতীয় আক্রমণের সম্ভাবনা সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করেছে। যদিও কেন তাঁরা ভয় পাচ্ছেন, সেই বিষয়ে কিছু খোলসা করে বলেননি।
পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, পাকিস্তান হাই এলার্টে রয়েছে। যদি কখনও ‘আমাদের অস্তিত্বের জন্য সরাসরি হুমকি’ তৈরি হয় তাহলেই পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার ব্যবহার করা হবে।
প্রসঙ্গত, এই হামলার পর ভারতে সন্ত্রাসীদের ধরতে ব্যাপক অভিযান শুরু হয়েছে। হামলাকারীদের মধ্যে দুজনকে পাকিস্তানি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও দায় এড়িয়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ। নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
হামলার পর থেকে, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছে। সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি স্থগিত করেছে, প্রধান স্থল সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করার ঘোষণা করেছে এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রত্যাহার করেছে। বন্ধ দুই দেশের মধ্যে এয়ারস্পেসের ব্যবহার এমনকি সব রকম ব্যবসাও।
নয়াদিল্লির পদক্ষেপের প্রতিফলন ঘটিয়ে, ইসলামাবাদ ভারতীয় কূটনীতিক এবং সামরিক উপদেষ্টাদের বহিষ্কারের নির্দেশ দেয়। ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে এবং ভারতীয় বিমানের জন্য তার আকাশসীমা নিষিদ্ধ করে।
আজ সকালে, ভারত সরকার ‘উস্কানিমূলক’ ভিডিয়ো তৈরির জন্য এক ডজনেরও বেশি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে। নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ, বোল নিউজ, রাফতার, জিও নিউজ এবং সুনো নিউজের ইউটিউব চ্যানেল।
What's Your Reaction?






