কীভাবে হত প্রশ্ন ফাঁস? সরব বিভাগীয় প্রধান, হইচই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে
North Bengal University: এখন ছাত্র বিক্ষোভের পর মেডিকেল কলেজের কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশ্নপত্র ডাউনলোডের সময় এখন থেকে ডিন এবং বিভাগীয় আধিকারিকেরা হাজির থাকবেন। এরইমধ্যে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মনোরোগ বিভাগীয় প্রধান ও প্রাক্তন সুপার নির্মল বেরা।
শিলিগুড়ি: অভিযোগের অন্ত নেই। সূত্রের খবর, এমবিবিএস পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র পোর্টালে আপলোড হয়ে যেত। তা উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ডাউনলোড করতেন ডিনের দফতরের কর্মীরা। অভিযোগ, প্রশ্নপত্র ডাউনলোডের পরে তা নির্দিষ্ট Whatsapp গ্রুপের মাধ্যমে পৌঁছে যেত প্রভাবশালী পড়ুয়াদের কাছে। শোনা যাচ্ছে, সবটাই নাকি সবাই জানতেন। কিন্তু অজানা কারণেই পদক্ষেপ করা হয়নি।
এখন ছাত্র বিক্ষোভের পর মেডিকেল কলেজের কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশ্নপত্র ডাউনলোডের সময় এখন থেকে ডিন এবং বিভাগীয় আধিকারিকেরা হাজির থাকবেন। এদিন মনোরোগ বিভাগীয় প্রধান ও প্রাক্তন সুপার নির্মল বেরা বলেন, শুনেছি ডিনের অফিসে প্রশ্ন ডাউনলোডের পরেই তা Whatsapp গ্রুপে দিত অসাধু একটি চক্র। করছেন আরও বিস্ফোরক অভিযোগ। বলছেন, “থ্রেট কালচারের কারণেই সুপারের পদ থেকে আমাকে সরে যেতে হয়েছিল। নানা টেন্ডার থেকে শুরু করে বহু ক্ষেত্রে দুর্নীতি রয়েছে। থ্রেট কালচারের পাশে দাঁড়ানো যাবে না।”
অন্যদিকে এদিন কলেজ কাউন্সিল বৈঠক চলাকালীন মেডিকেল কলেজে আসেন ‘থ্রেট কালচারে’ অভিযুক্ত হাউসস্টাফ ঋতুরম্ভ সরকার। আসেন তাঁর বাবা-মা। ইতিমধ্যেই ঋতুরম্ভকে কলেজ থেকে টার্মিনেট করা হয়েছে। যদিও ঋতুরম্ভের দাবি তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
What's Your Reaction?