নোবেলের অসভ্যতা দেখে জুতো ছুড়লেন শ্রোতারা, মঞ্চে গান গাইতে উঠে মাতলামি!
মঞ্চে উঠে মদ্যপ অবস্থায় অভব্যতার অভিযোগ উঠল নোবেলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে গিয়েছিলেন নোবেল। দু দিন ধরে চলা অনুষ্ঠানে ছিল একাধিক নজরকাড়া ইভেন্ট। সেখানেই গান গাইতে এসেছিলেন সারেগামাপা খ্যাত নোবেল
বাংলাদেশ: লাইমলাইটে কীভাবে থাকতে হয় তা খুব ভাল ভাবেই জানেন মঈনুল আহসান নোবেল (Noble)। বাংলাদেশি এই সঙ্গীতশিল্পীর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। ভারতের বিরুদ্ধে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অপমানজনক কথা বলে, কখনো আবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে বিষ্ফোরক মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। এবার ফের আরেক কাণ্ড ঘটালেন নোবেল।
মঞ্চে উঠে মদ্যপ অবস্থায় অভব্যতার অভিযোগ উঠল নোবেলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে গিয়েছিলেন নোবেল। দু দিন ধরে চলা অনুষ্ঠানে ছিল একাধিক নজরকাড়া ইভেন্ট। সেখানেই গান গাইতে এসেছিলেন সারেগামাপা খ্যাত নোবেল।
কিন্তু শুরু থেকেই বিতর্কে জড়ান তিনি। অভিযোগ, রাত নটার সময়ে অনুষ্ঠান শুরু করার কথা থাকলেও নোবেল মঞ্চেই ওঠেন ১১ টা ২০ তে। মঞ্চে উঠেও অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করেন তিনি। চোখ থেকে চশমাটা খুলে তিনি নিজেই পাঞ্জাবির কলারে রেখে কথা বলতে শুরু করেন শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে।
কিন্তু কথা শেষ করেই চিৎকার শুরু করে দেন নোবেল, ‘আমার চশমাটা কই?’ চশমা পেয়ে বেসুরো গলায় ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গাইতে শুরু করে দেন তিনি। এক সময়ে মাইক স্ট্যান্ডটাই আছড়ে ভেঙে ফেলার উপক্রম করেন তিনি। এমনকি মঞ্চের উপরে বসেও পড়েন নোবেল। শ্রোতারাও অবশ্য চুপ করে থাকেননি। জলের বোতল, জুতো ছুড়ে মারেন তারা নোবেলের দিকে। দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রীও ঘটনাটা দেখে চুপ করে থাকতে পারেননি। তিনি লিখেছেন, ‘সকাল থেকে শুরু করে ডজন খানেক নিউজ । সমস্যাটা যদি শারীরিক হতো হয়তোবা মানুষ কমেন্টে দোয়ার মাহফিল বসাতো l কিন্তু সমস্যাটা মানুষিক তাও আবার মাদক ঘটিত । যেরকম মানুষ নোবেল কোনো দিনই প্রথম থেকে ছিলোনা । এটা আমার নিজেরই দীর্ঘদিনের দেখা শো তে যাবার সময় গাড়ি দাড় করিয়ে নোবেলের নামায পড়া । সা রে গা মা পা চলাকালীন সময়ে পুরো শুটিংয় ইউনিটকে বসিয়ে রেখে নামায পড়া আর সবার সাথে অমায়িক ব্যাবহার । আর সে মানুষটা এখন নিজের কার্যকলাপে নিজেই নিজেকে চিনতে পারে না । নিজের নিরহংকার রূপকে ঢেকে পরিবার ও ভক্তবৃন্দদের কাছে নিজের অস্বাভাবিক রূপ প্রকাশের দীর্ঘ প্রচেষ্টা’।
What's Your Reaction?