শিক্ষকদের পকেট থেকে মেটাতে হবে মিড ডে মিলের টাকা! নির্দেশিকা ঘিরে তোলপাড়

মিড ডে মিল নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই! কখনও খাবারে পাওয়া যায় কীটপতঙ্গ, কখনও আবার ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ। এসব ঘিরে অতীতে বহুবার সরগরম হয়েছে রাজ্য। এবার এই মিড ডে মিল (Mid Day Meal) সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা ঘিরে কার্যত হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা বাংলায়। এর ফলে বহু শিক্ষকের টাকা খসতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

Aug 13, 2024 - 06:55
 0  14
শিক্ষকদের পকেট থেকে মেটাতে হবে মিড ডে মিলের টাকা! নির্দেশিকা ঘিরে তোলপাড়
মিড ডে মিল (Mid Day Meal) সংক্রান্ত নির্দেশিকায় কী বলা হয়েছে?

বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে মিড ডে মিলের রিপোর্ট (Mid Day Meal Report) পাঠাতে দেরি হয়েছিল। এবার সময় মতো হিসেব না দেওয়ার কারণে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হল। জানা যাচ্ছে, বিডিও-র কোপের মুখে পড়েছে বহু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি সাফ জানিয়েছেন, এবার প্রধান শিক্ষকদের নিজেদের মাইনে থেকে টাকা মেটাতে হবে!

সম্প্রতি হরিশচন্দ্রপুর ২ নং ব্লকে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এখানকার ২০টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিডিওর তরফ থেকে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আসলে বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর কারণে ছুটি ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে রিপোর্ট পাঠাতে দেরি হয়ে যায় বেশ কিছু স্কুল কর্তৃপক্ষের। এরপরেই চিঠি পাঠান বিডিও।

গত শনিবার স্থানীয় বিডিও তাপস পাল বিদ্যালয়গুলিকে (School) নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে বলা হয়েছে, মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। এই বিষয়ে তিনি বলেন, 'প্রতি মাসের ১ থেকে ৯ তারিখের মধ্যে ব্লক মিড ডে মিল সেকশনে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেওয়া আছে বিদ্যালয়গুলিতে। বারবার বলা সত্ত্বেও ওই ২০টি বিদ্যালয় এই মাসের ৯ তারিখ অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পরেও রিপোর্ট জমা করেনি'।

বিডিওর দাবি, সময় মতো রিপোর্ট জমা না করায় সম্পূর্ণ ব্লকের মিড ডে মিল (Mid Day Meal) পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। সেই কারণে এবার এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, বিডিওর এমন করার ক্ষমতা নেই। প্রধান শিক্ষকরা আদালতে গেলেই তিনি এক নির্দেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবেন

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

Tathagata Reporter