অভাববোধকে জয় করাই সুখের চাবিকাঠি - শোভনদেব, বালু গ্রেফতারের পর কি?
শিক্ষার পর রেশন। দুর্নীতির অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর ফের গ্রেফতার রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। ঘটনার তিনদিন পর এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যে টিম হতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। বহিষ্কার করা হয়ে গিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকেও। দোষ প্রমাণিত হলে জ্যোতিপ্রিয়র ক্ষেত্রেও টিম একই পথে হাঁটবে বলে এদিন জানিয়েছেন শোভনদেব। অর্থাত্ অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয়র পাশে দল যে আছে, পরোক্ষে শোভনদেব সেই ইঙ্গিতও স্পষ্ট করেছেন বলে মনে করছেন অনেকে।
এরপরই তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতার মুখে শোনা গিয়েছে দর্শনের কথা,'অভাববোধকে জয় করাই আসল সুখের চাবিকাঠি!'
তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতার এই মন্তব্য ফেলনা নয়। বাংলায় তৃণমূলের মেয়াদে প্রচুর বড় দফতরের দায়িত্ব কখনওই পাননি শোভনদেব। তা নিয়ে তাঁর খেদও ছিল বলে শোনা যায়। অনেকের মতে শোভনদেব বোঝাতে চেয়েছেন, তৃণমূলের কারও কারও লোভ, লালসার জন্যই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে এদিন শোভনদেব এও বলেন যে, 'বই লিখে কমিশন পাই, কাউকে ভয় করি না।' অর্থাত্ তিনি যে সত্ পথে থেকে করেন, সেটাও এদিন স্পষ্ট করতে চেয়েছেন।
শোভনদেবের এহেন দার্শনিক মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করার জন্য ছাড়ছে না বিরোধীরা। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'তৃণমূলের ভিতরে শোভনদেববাবুকে সবাই তবু একটু অন্য চোখে দেখতেন। তা সত্ত্বেও উনি যেরকম ভাবে হঠাত্ নিজের বিবেককে জাগ্রত করার চেষ্টা করছেন, তাতে তিনি নিজেই নিজের সাথেই সুবিচার করছেন না! ২০১১ হতে যখন রেশনের, মিড ডে মিলের চাল চুরি হচ্ছিল তখন কী তিনি কিছুই জানতেন না!'
আরও একধাপ এগিয়ে সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যর দাবি, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত অভিষেকের আধিপত্যর নিকট আত্মসমপর্ণ করতে বাধ্য হয়েছেন ওই স্থান শোভনদেববাবুরা কে? প্রকৃতপক্ষে অভিষেকের উত্থানের টাইম থেকেই তো এই জ্যোতিপ্রিয়, পার্থদের অধোগতি থেকে আরম্ভ করেছে। সেটাই ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে।'
What's Your Reaction?