আইন থাকলেও প্রয়োগ করতে দেওয়া হয়না !
সূত্রের খবর, এদিন তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তরে ডিন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় তার সাথে হোস্টেলে আইন থাকলেও তা প্রয়োগ করতে বাধা দেন ছাত্র-ছাত্রীরাই।
যাদবপুরের শিক্ষার্থী মৃত্যু কাণ্ডে (Jadavpur student death) বুধবারেই লালবাজারে তলব করা হয়েছিল ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায় (Jadavpur DEAN) এবং রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে (Snehamanju Basu)। সেদিন স্নেহমঞ্জু লালবাজারে হাজিরা দিলেও যাননি রজত রায়। তবে বৃহস্পতিবার শেষমেশ লালবাজারে হাজিরা দেন তিনি।
সূত্রের খবর, এদিন তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তরে ডিন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় তার সাথে হোস্টেলে আইন থাকলেও তা প্রয়োগ করতে বাধা দেন ছাত্র-ছাত্রীরাই।
উল্লেখ্য, হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে নদিয়ার ওই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বারবার বিশ্ববিদ্যালয় তার সাথে হস্টেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কথা উঠে এসেছে। ঘটনার দিন যে হস্টেলের তরফে ডিনকে ফোন করা হয়েছিল, সে কথাও জানা গিয়েছিল। অথচ তারপরেও হোস্টেলের সুপার অথবা ডিন কেন বিষয়টি নিয়ে স্টেপ নেননি সেই প্রশ্ন উঠেছে বারবার। জানা গেছে, এদিন তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তরে রজত রায় জানিয়েছেন, ঘটনার দিন হস্টেল থেকে তাঁকে ফোন করে জানানো হয়েছিল, সেখানকার এক ছাত্রকে 'পলিটিসাইজড' করা হচ্ছে। সে কথা জানতে পারার পরেই সঙ্গে সাথে হস্টেল সুপারকে উনি ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে দেন বলে দাবি করেছেন রজত বাবু।
তিনি (Jadavpur Dean) আরও জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তাঁর ফোনের জবাবে সুপারের তরফ থেকে কোন ফোন না এলেও ঘণ্টা দুয়েক পর সুপার নিজে ফোন করে একটানা বিষয়টি জানিয়ে দেন তাঁকে।
বৃহস্পতিবার প্রায় তিন ঘণ্টা জেরা করা হয় রজত বাবুকে। তাঁর কাছে জানতে মনোবাসনা হয়, হোস্টেলে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড রয়েছে কিনা। এর উত্তরে ডিন জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বিরোধী টিম রয়েছে। তখন তদন্তকারীরা প্রশ্ন তোলেন, তারপরেও এরূপ ঘটনা ঘটল কী ভাবে। সূত্রের খবর, সেই সময় রজতবাবু জানিয়েছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের কারণেই আইন থাকলেও তা প্রয়োগ করা পসিবল হয় না সব সময়।
জানা গেছে, এদিন ডিনের হতে তদন্তকারীদের অনুমান, ক্যাম্পাস এবং হস্টেলে আইনশৃঙ্খলা ঠিক মতো মেনে চলা হয় না। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হস্টেল সুপারকেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা থেকে পারে বলে খবর লাল বাজার সূত্রে।
What's Your Reaction?