ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল মঞ্চে মুখ খুলল ভারত, কান পেতে শুনল তামাম পৃথিবী
ইজরাইল-হামাস লড়াই নিয়ে পৃথিবীর নিকট তার অবস্থান তুলে ধরে ভারত জানাল আধুনিক অবস্থা নিয়ে ইন্ডিয়া গভীরভাবে চিন্তিত। ইজরায়েল ও হামাসের ভিতরে চলমান লড়াই নিয়ে আন্তর্জাতিক ধাপে প্রথমবারের মত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইন্ডিয়ার রাষ্ট্রদূত আর.রবীন্দ্র বলেন, 'ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রচলিত লড়াইয়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি এবং বিপুল হারে সাধারণ মানুষের মরণ নিয়ে ইন্ডিয়া গভীরভাবে উদ্বিগ্ন' ।
তিনি আরও বলেন, 'ইজরায়েলে ৭ই অক্টোবরের সন্ত্রাসবাদী হামলা মর্মান্তিক তার সাথে আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে সেই হামলার ঘৃণা জানাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ১ম বিশ্বনেতাদের মধ্যে একজন যিনি প্রাণহানির ঘটনায় মনঃকষ্ট প্রকাশ করেছেন তার সাথে নিরীহ সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে ফেমেলির প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ও ইজরায়েলকে এই শক্ত সময়ে সাইডে থাকার বিশ্বাস দিয়েছে'।
'নারীওশিশুদেররক্ষাকরতেহবে'
রবীন্দ্র বলেন, 'ইজরায়েলের সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনায় সেই সময় আমরা এই সংকটের সময়ে ইজরায়েলের সাথে ঐকাত্ম্য প্রকাশ করছি। উনি সাম্প্রতিক সংঘাতে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনাকে গুরুতর তার সাথে ক্রমাগত উদ্বেগের বিষয় বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে সকল পক্ষকে অবশ্যই নিরীহ সাধারণ মানুষদের রক্ষা করার জন্য হবে, বিশেষ করে ভদ্র মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে'।
তাঁর বক্তৃতায়, রবীন্দ্র ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের ভিতরে গঞ্জিকা উপত্যকায় সাধারণ লোকদের জন্য মানবিক সাহায্য পাঠানোর জন্য ভারতের প্রচেষ্টার উপরও জোর দিয়ে বলেন, 'ভারত ইতিমধ্যে গাজায় ৩৮ টন খাদ্যসামগ্রী তার সাথে খুব প্রয়োজনীয় চিকিত্সা টুল পাঠিয়েছে। ইন্ডিয়া বরাবরই আলোচনার সাহায্যে ইজরাইল-প্যালেস্তাইন প্রবলেম সমাধানের কথা বলেছে। ইন্ডিয়া এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে প্যালেস্তানি সাধারণ মানুষকে মানবিক সহায়তা প্রদান করবে। দুই রাষ্ট্রের ভিতরে আলোচনা পুনরায় আরম্ভ করার জন্য উর্বর অবস্থা তৈরি করার জন্য সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাবে। ইন্ডিয়া ইজরায়েল-প্যালেস্তানি সংঘাতের একটি ন্যায্য, শান্তিপূর্ণ তার সাথে স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ দিনের পর দিন ভয়াবহ আকৃতি নিচ্ছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চ হতে সন্ত্রাসবাদের দৃঢ় সমালোচনা করে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। উনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের প্রত্যেকটি কাজই বেআইনি ও অযৌক্তিক। এর একসাথে তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেন, 'যুদ্ধে মার্কিন নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমেরিকা ছেড়ে কথা বলবে না'।
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আরও বলেছেন যে সন্ত্রাসবাদের যাবতীয় কাজই বেআইনি এবং অন্যায্য। হামাস সহ অনান্য জঙ্গি গোষ্ঠীকে মদত তাদের অস্ত্র, অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী দেশগুলোর ধিক্কার করে তাদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি। তিনি তাঁর বিবৃতিতে বলেন, 'আমাদের ভুলে যাওয়া সমীচীন নয় যে ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে নিহত ১৪০০ জনেরও বহু লোকের মধ্যে ৩০ জনেরও বেশি রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলির নাগরিক ছিল। নিহতদের ভিতরে অন্তত ৩৩ জন মার্কিন নাগরিক রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই সঙ্কটের আরম্ভ থেকেই তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন, ইজরায়েলের আত্মরক্ষা দখল রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ইজরায়েলের সাইডে হতে সব ধরণের হেল্পের বার্তা দিয়েছে আমেরিকা।
এদিকে ইজরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে এই যাত্রায় কঠিন মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রসংঘ প্রধান। তিনি বলেন, গাজায় ইজরায়েলের ক্লান্তিহীন বোমাবর্ষণ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। পাশাপাশি গুতেরেস বলেছেন যে উনি গাজায় আন্তর্জাতিক মানবিক বিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের জন্য অতীব উদ্বিগ্ন। যুদ্ধবিরতির রাষ্ট্র সংঘের প্রধানের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইজরায়েল। হামাসকে ধ্বংস করার তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে ইজরায়েল ঘোষণা করেছে যে গাজার সংঘাত কেবল নিজের জন্য নয় বরং 'মুক্ত বিশ্বের জন্য ১টি যুদ্ধ'।
আইডিএফ উৎকৃষ্ট হার্জি হালেভি একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছেন যে তার বাহিনী 'আক্রমণের জন্য প্রস্তুত।' ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী এলি কোহেন রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইজরায়েল-গাজা সংঘাত নিয়ে কথ্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, ৭ই অক্টোবর আস্ত মুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি সতর্কবার্তা। উনি বলেন, 'উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা। সেদিন, হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের ১৫০০ এরও বেশি জঙ্গি দক্ষিণ দিক থেকে ইজরায়েলে অনুপ্রবেশ করেছিল। ১৪০০-এর অধিক নিরীহ নাগরিককে হত্যা করেছে। এই হামলায় ৪০০০ জনের অধিক আঘাতগ্রস্থ হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। উনি বলেন, 'এই হত্যাকাণ্ড ISIS এর চেয়েও নিষ্ঠুর-বর্বর।
হামাস-ইজরায়েলের লড়াইয়ে রাষ্ট্রসংঘের সেরা আন্তোনিও গুতেরেস নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বলেছেন যে হামাস 'কারণ ছাড়া' ইসরায়েল আক্রমণ করেনি। তার মন্তব্যে অপ্রসন্ন ইজরায়েল। অবিলম্বে রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের পদত্যাগ ও তার এই মন্তব্যের জন্য সামনে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সশস্ত্র সংঘাতে কোন পক্ষই ইন্টারন্যাশনাল মানবিক নিয়মের উপরে নয়। উনি ইজরায়েলি বাহিনীর যেভাবে হামাস-শাসিত গঞ্জিকা উপত্যকায় 'নিরবিচ্ছিন্ন বোমাবর্ষণ' করে চলেছে তা নিয়ে অগাধ পাবলিশ করেছেন। গুতেরেস বলেন, 'সময়ের সাথে সাথে পশ্চিম এশিয়ার সিচুয়েশন আরও সংকটজনক হয়ে উঠছে। গাজায় যুদ্ধপরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হলো তার সাথে সংঘাত পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকটময় সময়ে, আমি সকলের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি যে সংঘাত বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বেই তা পরিত্যাগ করুন।'
গুতেরেস বলেছেন যে উনি গাজায় ইন্টারন্যাশনাল মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের জন্য অতিমাত্রা উদ্বিগ্ন। জাতিসংঘের শ্রেষ্ঠ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিরও আবেদন জানান।
What's Your Reaction?