এসএসসির বিরোধিতা সত্ত্বেও চাকরি যাচ্ছে না প্রিয়ঙ্কার #SSC #priyanka

প্রিয়ঙ্কা সাউ নিয়োগের পরেও এই চাকরির বিরোধিতা করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়ে গিয়ে ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। সেই মামলায় এ বার ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল এসএসসি। তাদের আবেদন পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছে।

Aug 25, 2023 - 03:49
 0  10
এসএসসির বিরোধিতা সত্ত্বেও চাকরি যাচ্ছে না প্রিয়ঙ্কার #SSC #priyanka

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ২০২২ বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে জব পেয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা সাউ। কিন্তু তাঁর নিয়োগের পরেও এই চাকরির বিরোধিতা করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়ে গিয়ে ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। সেই মামলায় এ বার ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল এসএসসি। তাদের আবেদন পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছে।

সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। ২০২২ বর্ষের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রিয়ঙ্কাকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে এসএসসি সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তাদের ছিল, ক্যাটেগরিভিত্তিক বিস্তারিত মেধাতালিকা যাচাই করে নোটিশ গিয়েছে, প্রিয়ঙ্কার জবের সুযোগ পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু সেই অ্যাপ্লাই করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। বিচারপতি সৌমেন সেন তার সাথে উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মামলাটিতে সিঙ্গল বেঞ্চের আদেশ আগেই মেনে নিয়েছিল কমিশন। সেই অনুযায়ী প্রিয়ঙ্কা চাকরিও পেয়েছেন। এই সিচুয়েশনে নতুন করে কমিশনের অ্যাপ্লাই কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একারণে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করার জন্য চায়নি ডিভিশন বেঞ্চ।

একইসঙ্গে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, পুরুষ তার সাথে মহিলাভিত্তিক মেধাতালিকা বিচার করলে প্রিয়ঙ্কার চাকরি পাওয়ায় কোনও ভুল নেই। এজন্য তাঁর চাকরি বহাল থাকছে। প্রিয়ঙ্কার হয়ে মামলাটির সওয়াল করেছেন সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়।

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ সম্পর্কিত মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রিয়ঙ্কাকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অভিযোগ, যোগ্যতা ও নম্বর বেশি থাকা সত্ত্বেও প্রিয়ঙ্কা চাকরি পাননি। আদালতকক্ষে এসএসসির তরফে জানানো হয় যে, ওই প্রার্থীকে মেয়ে বিভাগে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। সেই পর্বে বাদ যান প্রিয়ঙ্কা। অথচ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে নিয়োগের নির্দে‌শ দেন। পাশাপাশি কমিশনকে তিনি এ-ও বলেছিলেন, তিনটি বিদ্যালয়ের বিকল্প থেকে প্রিয়ঙ্কাকে পছন্দমতো বিদ্যালয় বেছে নেওয়ার চান্স দেওয়ার জন্য হবে। ওই বছরেই আদেশ কার্যকর করেছিল এসএসসি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

Tathagata Reporter