কর বৃদ্ধির পক্ষে বিবেক, ছাড় ও শেষ #economy #india

এ দিন ২০৪৭ সালে ইন্ডিয়া বিশ্বের ৩য় সংখ্যাগরিষ্ঠ অর্থনীতি হয়ে উঠবে বলে প্রার্থনা প্রকাশ করেন বিবেক। অর্থনীতির নিমিত্ত চার চালিকাশক্তির সিচুয়েশন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তোলেন সরকারী ব্যয়ের কথা। দাবি করেন, রাষ্ট্রের ব্যয়ের দুই-তৃতীয়াংশের দায় রাজ্যগুলির

Aug 23, 2023 - 10:56
 0  20
কর বৃদ্ধির পক্ষে বিবেক, ছাড় ও শেষ #economy #india

পণ্যের চড়া দামে দিশাহারা দেশের অধিক মানুষ। সাম্পপ্রতিককালে সরকারী সূত্রের ইঙ্গিত, ভোটের আগে আমজনতা চাপ কমাতে কিছু স্টেপ করতে পারে কেন্দ্র। যার সেরা তেলে শুল্ক ছাঁটাই। এই সিচুয়েশনে মঙ্গলবার বণিকসভা ক্যালকাটা চেম্বারের অধিবেশনে দেশের উন্নয়নে গর্ভনমেন্টের বাড়ানোর জন্য তাদের ইনকাম বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা বললেন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকবুদ্ধি দেবরায়।

সে জন্য করের হার বৃদ্ধির পক্ষেও সওয়াল করলেন। তাঁর বক্তব্য, অত্যাবশ্যক কিছু খাতে কেন্দ্রের যা বরাদ্দ, তার চেয়ে কর বাবদ অনেক কম। একারণে কর ছাড়ের সুবিধাও স্তরে স্তরে তুলে দেওয়াই টার্গেট হওয়া উচিত। যদিও ভোটের প্রথমে যে এগুলির সম্ভাবনা নেই, সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। জিএসটি জমানায় গভর্নমেন্ট হারাচ্ছে দাবি করেও করের ১টি হারের পক্ষে মেসেজ দেন এই অর্থনীতিবিদ।

এ দিন ২০৪৭ সালে ইন্ডিয়া বিশ্বের ৩য় সংখ্যাগরিষ্ঠ অর্থনীতি হয়ে উঠবে বলে প্রার্থনা প্রকাশ করেন বিবেক। অর্থনীতির নিমিত্ত চার চালিকাশক্তির সিচুয়েশন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তোলেন সরকারী ব্যয়ের কথা। দাবি করেন, রাষ্ট্রের ব্যয়ের দুই-তৃতীয়াংশের দায় রাজ্যগুলির। ফলে কেন্দ্র কেন খরচ বাড়াতে পারছে না, সে প্রশ্ন করলে আদপে রাজ্যগুলিকেই তা করা উচিত। তাঁর কথায়, বাড়াতে রাষ্ট্রের রোজগার বৃদ্ধিও জরুরি। তবুও যেখানে প্রার্থনা করা হয় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা ও পরিকাঠামো মিলিয়ে জিডিপির ২৩% কেন্দ্র খরচ করবে, ওই স্থান জিডিপির মাত্র ১৫% আসে কর থেকে। দেবরায়ের বক্তব্য, ''পছন্দ হোক বা না হোক, হয় আমাদের অধিক কর দিতে হবে, নয়তো পশ্চিমী দুনিয়ার মতো বিমানবন্দর বা চিনের মতো রেল স্টেশনের প্রার্থনা রাখলে চলবে না। কিন্তু আমার কাছে এলেই শিল্পের প্রতিনিধিরা সকলেই বলেন অন্যদের উপরে কর চাপলেও আমাদেরটা তুলে দিন।'' তাঁর মতে, যে কোনও ছাড় জীবনকে কঠোর করে তোলে। উল্টে ধারা মানতে গিয়ে খরচা বাড়ে। ''এতে উকিল আর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদেরই সুবিধা হয়'' বলেও হাল্কা ভাবে মন্তব্য করেন তিনি।

সেই সঙ্গে জিএসটি অ্যারেঞ্জমেন্টে একটি করের পক্ষেও এ দিন সওয়াল করেছেন বিবেক। তাঁর দাবি, জিএসটির অধীনে করের হারকে এইরকম ভাবে স্থির করার কথা ছিল, যাতে আগের জমানার তুলনায় ভূমিকর কম না আসে। সে জন্য করের গড় হার হওয়া প্রয়োজন ১৭%। তা সত্ত্বেও আজকাল গড়ে তা ১১.৪%। চেয়ারম্যানের কথায়, ''জিএসটিতে একটিই হার হওয়া উচিত। তা সত্ত্বেও সকলেই, এমনকি জিএসটি পরিষদও ২৮% কমানোর কথা বলে। কেউ নিঃশেষ বা ৩% হারকে বাড়াতে দেওয়ার জন্য চান না।''

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

Tathagata Reporter