গল্ফগ্রিন এলাকায় গণপিটুনি ৩ জনকে গণপিটুনি দিয়ে মারলো এলাকাবাসী
খাস কলকাতায় গণপিটুনির ঘটনা। চোর সন্দেহে চলল এলোপাথাড়ি মারধর। এক জন নয়, তিনজন ব্যক্তিকে অত্যাচার করা হল
কলকাতা: স্থানীয়দের একাংশ অভিযোগ তুলেছেন, এলাকায় পরপর চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এলাকায় যথেষ্ট নজরদারি রয়েছে। গল্ফগ্রিনের গণপিটুনির ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পরপর সপাটে চড়, কিল, চুল কামিয়ে হাতে দড়ি বেঁধে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনই অবর্ণনীয় অত্যাচারের ঘটনা ঘটল ওই তিন ব্যক্তিকে। খাস কলকাতায় চোর সন্দেহে এমনই অত্যাচার করা হল তিন জনকে। কেন এমন ঘটনা? গল্ফ গ্রিনের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সম্প্রতি এলাকায় একের পর এক বাড়িতে চুরি হয়েছে। সন্ধে নামলেই এলাকায় বসে নেশার আসর। এই এলাকাতেই বাড়ি পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর। তাঁর বউ চন্দনা চক্রবর্তী বলেন, 'দিনের পর রোজ অসামাজিক কার্য করে চলেছে কয়েকজন বাড়ির কাছেই। আমি একলা থাকি, চুরি উপদ্রব এলাকা জুড়ে, এগুলো পুলিশকে বলেও লাভ হয়নি। এগুলো পুলিশ ও নেতাদের দেখা উচিত। ভোট হয়ে গেলে এবং কেউ দেখে না। না দেখলে ভোট পাবে কীভাবে।' এলাকাবাসীর দাবি, রবিবার একটি বাড়ি থেকে এসি চুরির সময় হাতেনাতে একজনকে ধরে ফেলেন তাঁরা। ধৃতের সঙ্গী সন্দেহে আরও ২ জনকে ধরে বেধড়ক অত্যাচার করা হয়। এক ব্যক্তির চুল কামিয়ে হাতে দড়ি বেঁধে ঘোরানো হয় এলাকায়। পুলিশ সূত্রে দাবি, এলাকায় যথেষ্ট নজরদারি রয়েছে। ধরপাকড়ও চলছে। এর পূর্বে গতবছর নারকেলডাঙা থানা এলাকায় মোবাইল ফোন চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কলকাতায় পুনরায় চোর সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা পূর্বে এল। যদিও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কয়েকদিন আগেই এই গল্ফগ্রিন এলাকাতেই সাতসকালে দেহ উদ্ধার করা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। দেহে গলা, মাথায় আঘাতের রেখা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। বসতি এলাকায় এমন ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। প্রশ্ন তুলতে আরম্ভ করেছিলেন বাসিন্দারা। তার কদিন পরেই এই ঘটনায় ফের উঠল প্রশ্ন। চুরি হলে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে যেমন ধরুন প্রশ্ন থাকে। তেমনই চোর সন্দেহে একইভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় অত্যাচার করলেও আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।
What's Your Reaction?