চাঁদ ছুঁতে ৪০ দিন ! কেন সময় লাগছে ইসরোর চন্দ্রযান ৩-র?
জু জুলাই পৃথিবী থেকে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে চন্দ্রযান ৩। ইসরোর তরফে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে সেই মোতাবেক, চাঁদে পৌঁছতে এই চন্দ্রযানের সময় লাগবে ৪০ দিন। ২৩ অথবা ২৪ অগাস্ট চাঁদে পৌঁছবে চন্দ্রযান ৩। কিন্তু, এর আগে নাসার অ্যাপলোর চাঁদে পৌঁছতে সময় লেগেছিল মাত্র চার দিন। সেক্ষেত্রে কেন এই চার বনাম ৪০ দিনের ব্যবধান?
কলকাতা: বিস্তারিত ব্যাখ্যা - অতীতের 'মুন মিশন' এবং তাদের সময়. ২০১০ সালে চিনের 'চ্যাংই ২' পৃথিবী থেকে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল। এই দূরত্ব পার করতে এই চন্দ্রযানের সময় লেগেছিল চার দিন।
সোভিয়েত ইউনিয়নের 'লুনা ১' পৃথিবী থেকে চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছেছিল মাত্র ৩৬ ঘণ্টায়। এমনকী, নাসার অ্যাপলো ১১ কমান্ড মডিউল যা তিন মহাকাশচারীকে কলম্বিয়া থেকে নিয়ে গিয়েছিল, তা চার দিনের সামান্য বেশি সময়ে চাঁদে পৌঁছে গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে চন্দ্রযান ৩-এর কেন এত বেশি সময় লাগছে?
বিশেষজ্ঞদের একাংশের ব্যাখ্যা, এর কারণ ইসরোর কাছে চন্দ্রযান ৩-কে সরাসরি চাঁদের পথে ঠেলে দেওয়ার মতো শক্তিশালী রকেট নেই। অ্যাপলো মিশনের ক্ষেত্রে ট্রান্সলুনার ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়েছিল। যা অ্যাপলো মহাকাশযানটিকে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রথমে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মহাকাশযানটিকে চাঁদের দিকে পাঠানোর জন্য একটি শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক পন্থা ব্যবহার করা হয়, যা মহাকাশযানটিকে সরাসরি LTT-র দিকে এগিয়ে দেয়।
আর এই সরাসরি পথ অ্যাপলোকে অনেক সহজে চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, চন্দ্রযান ৩ একেবারেই অন্য গতিপথ অনুসরণ করছে। 'ইঞ্জিন বার্ন'-এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে এই মহাকাশ যানের গতি বাড়বে। এই মহাকাশযানটি প্রথমে পৃথিবীর প্রাথমিক কক্ষপথে প্রবেশ করবে। চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করার জন্য তা চূড়ান্ত একটি ইঞ্জিন বার্ন করবে।
ইসরো পৃথিবী এবং চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে ব্যবহার করছে এক্ষেত্রে। চন্দ্রযান ৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ড করবে। এখনও পর্যন্ত কোনও চন্দ্রযান এই অংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। সেখান থেকে ছবি তুলে পাঠাবে চন্দ্রযানটি। যা স্বাভাবিকভাবেই মহাকাশ গবেষণায় অত্যন্ত বড় সাফল্য হতে পারে।
What's Your Reaction?