তৃণমূলের মিমি চক্রবর্তীর সাংসদ পদের পদত্যাগ পত্র, নাকি তার আরেক নিকৃষ্ট অভিনয়

পশ্চিমবঙ্গ: তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) সাংসদ মিমি চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মিমি চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার লোকসভা সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে।  লোকসভা স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা না দিয়ে, তিনি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, কেন? সূত্র মারফত আমরা - জানতে পেরেছি সামনের ইলেকশন, তাকে যাতে যাদবপুর থেকে সরানো নাহয় - তাই তিনি এই জঘন্ন পদত্যাগের অভিনয় করলেন । আমি তাঁর বাজে অভিনয় এর জন্য তার কোনো সিনেমা চলেনা তাই ২০১৯ তিনি তৃণমূল এ যোগদান করেন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বানিধ্যে আসেন। 

যাদবপুরের প্রথম সাংসদ চক্রবর্তী বিকেলে রাজ্য বিধানসভায় গিয়েছিলেন ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করতে। “আজ, আমি আমাদের পার্টি সুপ্রিমোর সাথে দেখা করেছি। আমি 13 ফেব্রুয়ারী তার কাছে আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলাম। আমি এত বছরে বুঝতে পেরেছি যে রাজনীতি আমার চায়ের কাপ নয়, "তিনি পিটিআইকে উদ্ধৃত করে বলেছেন।

"রাজনীতি আমার জন্য নয়। আপনি যদি কাউকে সাহায্য করেন তবে আপনাকে এখানে (রাজনীতিতে) কাউকে প্রচার করতে হবে... একজন রাজনীতিবিদ হওয়ার পাশাপাশি আমি একজন অভিনেতা হিসেবেও কাজ করি। আমার সমান দায়িত্ব রয়েছে," চক্রবর্তীকে এএনআই বলেছে। . "আপনি যদি রাজনীতিতে যোগ দেন, আপনি কাজ করুন বা না করুন আপনাকে সমালোচনা করা হয়," তিনি আরো বলেন ।

মিমি চক্রবর্তী বলেছেন যে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তার সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলেছেন। "আমি তাকে এমন একটি দল থেকে আমার পদত্যাগের বিষয়ে বলতে চেয়েছিলাম যা আমাকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে। আমি তাকে 2022 সালে একজন এমপি পদ থেকে আমার পদত্যাগের কথাও বলেছিলাম। তিনি তখন তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে কেন তিনি নিয়ম অনুসারে লোকসভার স্পিকারের কাছে নাগিয়ে, মমতা ব্যানার্জির কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন? চক্রবর্তী বলেছিলেন, "আমি একবার টিএমসি থেকে অনুমোদন পেলে, আমি স্পিকারের কাছে জমা দেব।"

আজকে আমরা যদি দেখি মিমি চক্রবর্তীর ৫ বছরের একটা ছোট্ট অন্যালিসিসি করি তাহলে কি দেখবো ? সম্প্রতি মিমির ফেইসবুক পোস্ট আমাদের সামনে এলো - সেখানে তিনি হিসাবদিয়েছেন কতটাকা তিনি কোথায় কোথায় খরচা করেছেন - এইযে এনি বলেন সবাই তার সমালোচনা করে,

আজকে দেখবো পুরো ব্যাপারটা -

তার কাজ কি ? যে টাকা allote হয়েছে তা DM এর কাছে পাঠানো এবং সেইসব খাতে খরচ গুলো করা।  তিনি ভিন্ন তো কিছুই করেননি - আমরা দেখলাম দেখি সংসদএ তিনি কতবার গেছেন ?  একজন সাংসদ প্রতি ভারতবর্ষে খরচ কত ? সূত্রমারফত জেনেছি ভারত সরকারের প্রতিমাসে একজন সংসদের প্রতি খরচ ১৫ লক্ষ টাকা। তবে সারা পাঁচ বছরে ৯ কোটি টাকার মতন খরচ হয়। এর মধ্যে লোকসভা অধিবেশন কত গুলো হয় পাঁচবছরে ? আমাদের হিসাব অনুযায়ী ২৭৪ টি, (২০১৯-২০২৪) . এর মধ্যে যাদবপুরের সাংসদ উপস্থিত ছিলেন - (২১%) ৫৮ দিন পাঁচ বছরে ।  আপনি বলুন ৯ কোটিটাকা কেন এদের মতো সংসদের জন্য খরচ হবে ? এটাতো আমার আপনার ট্যাক্স এর টাকা।  একবার ভাবুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাদের মাথায় তাঁর মমতার হাত রেখেছেন ?? এরই মতন আরো কয়েকজন আছেন দেব - তার উপস্থিতি সংসদে কত জানেন ? ১২% পাঁচ বছরে, নুসরাত জাহান এর ২৩%  - এই নিয়ে আরেকদিন কথা বলবো।  

১৯৮৪ সালে এই জাদপুরের সংসদ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে, আজকে করা দিদির ছায়ায় দাঁড়াচ্ছেন ? আসলে অভিনেতা দের দাড়করিয়ে 
ভোট ব্যাঙ্ক দাঁড়কারণ টা পলিটিক্স এর একটা অঙ্গ হয়েগেছে বা এটাকে পাবলিসিটি স্ট্যান্ট ও বলতে পারেন। এখন যাদবপুরের লোকজন কেই ভাবতে হবে তারা আগামীদিনে কাকে দেখতে চান ?