প্রমাণ লোপাটে যাদবপুরে ভুয়ো সেনা #jadavpur
গত বুধবার প্রায় ২৫-৩০জন যুবক-যুবতীকে ভারতীয় সেনার মতো পোশাক পরিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আসেন কাজf সাদেক হোসেন
কলকাতা: ভুয়ো সেনা জওয়ানদের নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার ঘটনায় অভিযুক্ত সংগঠনের প্রধানকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। গত বুধবার প্রায় ২৫-৩০জন যুবক-যুবতীকে ভারতীয় সেনার মতো পোশাক পরিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আসেন কাজf সাদেক হোসেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ঘটে যাওয়া মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করতেই তিনি ফোর্স নিয়ে আসেন বলে দাবি করেন। যদিও তাঁর আইনজীবী আদালতে দাবি করেছেন, এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এর আগেই চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল সাদেক হোসেনের পক্ষ থেকে। কিন্তু সরকারি আইনজীবী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় এই বিষয় সম্পর্কে কিছুই জানে না বলে দাবি করেছেন রেজিস্ট্রার এবং ডিন অফ স্টুডেন্টস।
এমন কি, এই ঘটনার সঙ্গে কসবার ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের তুলনাও আদালতে উত্থাপন করেন সরকারপক্ষের আইনজীবী। তিনি আরও বলেন, যখন একটি খুনের মামলা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে চলছে, তখন সাদেক হোসেনের এই ভুয়ো সেনা নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ, আদতে কোনওভাবে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার কারণে কি না, সেই বিষয় নিয়ে সন্দিহান রয়েছেন তদন্তকারীরা।
শনিবার গ্রেফতারের পরে রবিবার সাদেককে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, ধৃত সাদেকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কিছু ভুয়ো পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে কয়েকটি লেটারহেডও। এ ছাড়া, সাদেকের বাড়িতে কিছু অপরাধমূলক নথি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী আদালতে তাঁর বয়সের কথা উল্লেখ করে জামিনের আর্জি জানান। যদিও বিচারক তাতে সাড়া দেননি। তিনি মন্তব্য করেন, ‘ইনি যে ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন তাতে বয়স কেবলমাত্র একটি সংখ্যা মাত্র।’
যাদবপুর থানার স্বতঃপ্রণোদিত মামলার ভিত্তিতে কাজি এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার পোশাক অপব্যবহারের অভিযোগে সাদিককে নোটিস দেওয়া হয়। প্রথম দিকে তাঁকে খুঁজে না পাওয়া গেলেও পরে শুক্রবার রাতে গার্ডেনরিচ থানায় এসে নোটিস গ্রহণ করেন সাদিক। শনিবার রাতে কাজিকে আটক করে প্রথমে গার্ডেনরিচ থানা এবং পরে যাদবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাদিককে। তারপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
What's Your Reaction?