বিচারক দিলো কড়া নির্দেশ গ্রেপ্তার হওয়া ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া চার শিক্ষক এর বিরুধ্যে
ঘুষ দিয়ে সরকারি স্কুলশিক্ষকের জব পাওয়া চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার আলিপুর ছোট শহর দায়রা আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওই চার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঘুষ দিয়ে সরকারি স্কুলশিক্ষকের জব পাওয়া চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার আলিপুর ছোট শহর দায়রা আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওই চার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার শুনানির টাইম বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'তাদের জন্যই এত কতিপয় (সমস্যা)।' বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অতীতে নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে একাধিক গ্রেপ্তারির ঘটনা ঘটেছে। তাদের ভিতরে প্রভাবশালীরাও রয়েছেন। অথচ এবারই প্রথম টাকা দিয়ে জব পাওয়ার অভিযোগে চার স্কুলশিক্ষককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রায় এক মাস আগে নিয়োগ দুর্নীতির এক মামলায় ওই চার শিক্ষককে তলব করে আলিপুর টাউন দায়রা আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্ত কোম্পানী সিবিআইয়ের চার্জশিটে ওই চারজনের নাম রয়েছে। তারা হলেন, জহিরুদ্দিন শেখ, সমুদ্র হোসেন, সিমর হোসেন এবং সমর মণ্ডল। তাদের প্রত্যেকেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতের কাছে দেওয়া অভিযোগপত্রে বলেছেন, তাপস মণ্ডলের সাহায্যে তারা টাকা দিয়ে জব পেয়েছেন। সোমবার ওই চারজন উকিল হাজির হয়েছিলেন।
অভিযুক্তরা হাজিরা দেওয়ার সঙ্গে সাথে তাদের আইনজীবীরা আগাম জামিনের অ্যাপ্লাই করেন। তা সত্ত্বেও বিচারক তা পরিত্যক্ত করে দেন। উনি বলেন, 'কেন তাদের জামিন দেওয়া হবে? তাদের জন্যই এত কিছু।'
বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি তলব করে ওই চার স্কুলশিক্ষককে আদালতে এনেছি। প্রচুর তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাদের ডেকে আনা হয়েছে।'
তিনি ওই প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, 'আপনাদেরই বলতে হবে যে কেন আপনাদের জামিন দেওয়া হবে। আপনাদের নিকট কেউ অবশ্যই টাকা চাইতে যায়নি। আপনারা টাকা নিয়ে গিয়েছেন।'
পরে ওই শিক্ষককে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত তাদের প্রেসিডেন্সি শোধনাগারে রাখা হবে। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন সিলেক্ট করা হয়েছে।
What's Your Reaction?






